কেরানীগঞ্জে বিদেশি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস থেকে ভারতীয় এক নারী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে লাশটি উদ্ধার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
ওই নারী শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের লেকচারার ডা. জাকিয়া তাসনিম বলেন, ‘প্রতিবেদন পাবলিক হওয়ার আগে আমরা কথা বলি না। বিষয়টি তদন্তাধীন, মামলাধীন। প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর হয়নি, হলে কথা বলা যেত। পুলিশ চাইলে যে কোনো সময় প্রতিবেদন নিতে পারে। কারণ লাশ ভারতে ফেরত যাবে।’
জানা গেছে, মৃত নিদা খানের বাড়ি ভারতের রাজস্থানে। তাঁর বাবার নাম আ. আজিজ খান। তিনি আদ-দ্বীন মোমেন মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে কলেজের এজিএম সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকায় তাদের ক্যাম্পাস। সেখানে ফরেন হোস্টেলে থাকতেন নিদা খান। তাঁর রুমমেটরাও ভারতীয় নাগরিক। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রুমমেটদের সঙ্গে পড়ালেখা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর রুমে চলে যান তিনি। রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত তাঁর পাশের রুমের শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে রাত ২টার দিকে হোস্টেল সুপারসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তাঁর রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন নিদা। তখন সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছরোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মধ্যরাতে খবর পেয়ে কলেজটির ফরেন হোস্টেল থেকে ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগানো ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এসআই ছরোয়ার আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শনিবার অনুষ্ঠিত একটি পরীক্ষায় নিদা খান নকল করার অভিযোগে বহিষ্কার হন। এটি নিয়ে সারাদিন হতাশায় ছিলেন। যার কারণে তিনি রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অন্য কোনো ঘটনা বা কারণ আছে কি না তা বিস্তারিত তদন্তের পর বলা যাবে।